Reporter: নিজস্ব সংবাদদাতা | লেখক: Rahul Majumder | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ০৭ আগস্ট ২০২৪ ১৫ : ৪৩Rahul Majumder

সংবাদ সংস্থা মুম্বই : অভিনেতা, পরিচালক হিসাবে যতটা নাম ছিল রাজ কাপুরের ঠিক ততটাই খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিত তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের নানা কিসসা। অভিনেত্রী নার্গিসের সঙ্গে অভিনয় করতে করতে তাঁর সঙ্গে রাজের প্রেমে মেতে ওঠার ঘটনা সর্বজনবিদিত। শোনা যায়, রাজ-নার্গিসের প্রেমের আঁচে জ্বলেছিল কাপুর এবং অভিনেত্রীর দুই পরিবারই। এই ঘটনার কথা বিশদে নিজের আত্মজীবনী 'খুল্লম খুল্লা'তে রাখঢাক না রেখেই লিখেছিলেন রাজ-পুত্র তথা অধুনা প্রয়াত বলি-অভিনেতা ঋষি কাপুর। শুধু তাই নয়, এই কাণ্ডকে 'ইতিহাসের অংশ' বলেও এক সাক্ষাৎকারে অভিহিত করেছিলেন ঋষি।

'আপ কী আদালত' অনুষ্ঠানের একটি পর্বে হাজির হয়ে রাজ-নার্গিসের প্রেমপর্ব প্রসঙ্গে কথা বলতে শোনা গিয়েছিল ঋষি কাপুরকে। বলেছিলেন, "একজন ছবি নির্মাতা হিসাবে কাজ করতে করতে কারও কারও সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়ে যায়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে বন্ধুত্বের বেশি কিছু হয়ে যায়। আমরা শিল্পী মানুষ। শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করি, পরস্পরের থেকে প্রেরণা নিই। দিনের শেষে আমরাও তো মানুষ। আর মানুষ বলেই অন্য একজন মানুষের প্রেমে পড়ি। কখনও কখনও বিবাহিত মানুষদের সঙ্গেও এই বিষয়টি ঘটে। একে জীবনের অঙ্গ ছাড়া আর কী বলি!" এখানেই না থেমে ববি' অভিনেতা আরও বলে চলেন, "বাবার এই ঘটনা নিয়ে আমরা কেউই লজ্জিত নয়। যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। সেটি এখন অতীত। ইতিহাসের অংশ। দু'জনের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বর্তমানে সদ্ভাব রয়েছে"।

নিজের আত্মজীবনীতে এই বিষয়ে ঋষি আরও জানিয়েছিলেন যে নার্গিসের সঙ্গে রাজের প্রেম নিয়ে তাঁর মা তেমন হইচই করেননি। করেছিলেন  বৈজয়ন্তীমালার সঙ্গে ফের সম্পর্কে যখন জড়িয়ে পড়েছিলেন তাঁর বাবা। ওই বইয়ে তিনি লিখেছিলেন, "নার্গিসজীর সঙ্গে বাবার প্রেম ছিল, আমি তখন ভীষণ ছোট। তাই কিছু মনেই নেই প্রায়। আমার জীবনকেও সেই সময় নাড়া দেয়নি ওই ঘটনা। তবে মনে আছে, যখন বৈজয়ন্তীমালার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন বাবা সেই সময় আমাকে নিয়ে মা বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে মেরিন ড্রাইভে অবস্থিত নটরাজ হোটেলে উঠেছিলেন"। 

তবে এত কিছুর পরেও কিন্তু ঋষি কাপুর-নীতু সিংয়ের বিয়ের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছিলেন নার্গিস। স্বামী সুনীল দত্তকে সঙ্গে নিয়ে সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজিরও হয়েছিলেন তিনি। তবে অনুষ্ঠানে হাজির হওয়া নিয়ে ভীষণ অস্বস্তিতে ভুগেছিলেন তিনি। নিজেই এসব কথা 'খুল্লম খুল্লা'তে জানিয়েছিলেন ঋষি। "১৯৫৬ সালে 'জাগতে রহো'র পর আমাদের আর কে স্টুডিওতে ঢোকেননি নার্গিস। এর দীর্ঘ ২৪ বছর পর আমার বিয়ের সুবাদেই সেখানে হাজির হয়েছিলেন তিনি। স্বভাবতই অতীতের কথা ভেবে অস্বস্তিতে ভুগছিলেন তিনি। তা বুঝতে পেরে হাসিমুখে আমার মা তাঁকে সাদর অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন। অতীত ভুলে 'বন্ধু' ডেকে কাছে টেনে নিয়েছিলেন নার্গিসজীকে"।